বিশ্বব্যাপী মহা মারী আকার ধারণ করা ভাইরাসে দিশেহারা বঙ্গোপসাগর ঘেরা দেশগুলো। এর মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগরে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে চলেছে। তার নাম ‘আম্ফান’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল শনিবার (২ মে) সক্রিয় হতে পারে।
শুক্রবার (১মে) আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা আজ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামী কয়েক দিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বৃষ্টি বাড়তে পারে। আর শুক্র বা শনিবারের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সব লক্ষণ আছে।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। যা দুই–তিন দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হবে।
আরও বলা হয়েছিল, ৩০ এপ্রিলের কাছাকাছি সময় দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছের স্থানে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পরিণত হতে পারে। এটি ৩ থেকে ৫ মে তারিখের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার–চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৫ থেকে ৭ মে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেযে বেশিউচ্চতার জোয়ারের পানি থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তবে এটি কোন দেশের উপকূলে আঘাত করবে সেটি এখনই বলা মুশকিল। তাদের দাবি, ভারতের আন্দামান সাগরে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে।